পেকুয়া সংবাদদাতা ::
পেকুয়ায় ১৭ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার মনজুর আলমের পুত্র আলী হোসেন, আবদুল মতলবের পুত্র মোঃ তারেক ও আবু ছিদ্দিক। তারেক ও আবু ছিদ্দিককে ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও কিশোরীর স্বীকারোক্তিমতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মতলবের পুত্র মিজানুর রহমান, মোঃ কালুর পুত্র মোঃ জোনাইদ ও মৃত আহমদের পুত্র নেজাম উদ্দিন সহ আরো কয়েকজনকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে বলে উপ পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান।
পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার ওই কিশোরী টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকায় তার আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। সিএনজি চালক জোনাইদ ও আলী হোসেনসহ আরো কয়েকজন তাকে যথাস্থানে নামিয়ে না দিয়ে গাড়িতে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীরা কিশোরীকে রাত ১ টার দিকে ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়ার কবরস্থানে নিয়ে যায়। একে একে ৬-৭ জন তাকে গণধর্ষণ করার এক পর্যায়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
থানার উপপরিদর্শক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। রাতেই কিশোরীর স্বীকারোক্তিমতে আলী হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ওই সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় তারেক ও ছিদ্দিককে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, সিএনজি গাড়িতে করে তার মেয়ে আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন। সিএনজি চালকসহ আরো কয়েকজন মেয়েকে ধর্ষণ করে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভুইয়া জানান, ওই কিশোরীকে রাতে ধর্ষণ করার বিষয়ে জানতে পেরে উদ্ধার করি। জড়িত একজনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুই জনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর বয়ান নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরো বলেন, তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাকে আদালতেও নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: